এ অঞ্জলে নদীর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মধ্যে মিশে আছে কালন্দী নদী। এই নদীতে ১০ নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের অনেক লো্ক মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ অঞ্জলের মানুষের প্রধান পেশা হিসেবে তারা মাছ শিকার করে থাকে । এই নদীর তীরে অবস্থিত বাঁশঝাড়িয়া বন। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই নদী। উকশা বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতী গরু পারাপারের ব্যবস্থা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে যাতায়াতের জন্য এই নদীতে লঞ্চ স্টিমারের ব্যবস্থা রয়েছে। জেলেরা নৌকা নিয়ে এই নদীতে মাছ ধরে। এছাড়া ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে বিভিন্ন খাল।
কালন্দী নদীর জলরাশির সবচেয়ে দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্য হল প্রতিদিনের জোয়ারভাটা। প্রাকৃতিক কারণে প্রতি ২৪ ঘন্টায় দুইবার করে জোয়ারভাটা হয়। এই জোয়ারের সময় বাঁশঝাড়িয়া বনভূমির বহুলাংশ দুইতিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।কালন্দী নদীর অস্তিতের জন্য জোয়ারভাটা এক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই জোয়ার ভাটা পানির লবণাক্ততাকে নিয়ন্ত্রণ করে। লবণক্তার ওপর নির্ভর করে গাছের উচ্চতার পরিমান।বনের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট বড় বিভিন্ন খাল । খালের পানি জোয়ার ভা্টা হয় এর মাধ্যমে আমাদের অঞ্চলের মানুষেরা ঘের তথা মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এছাড়া খালের কারণে বর্ষা মৌসমে পানি নেমে গিয়ে বন্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS